মানুষ, শত্রু মানুষ

একদিন মানুষের শ্ত্রু ছিলো বন্য জীবজন্তু ও সাপ। আজ মানুষের শত্রু মানুষ। মানুষের বড় প্রতিযোগিতা কে সবচেয়ে শক্তিশালী ও মারণাস্ত্র তৈরী করতে পারে। এইমাত্র যে শিশুটি জন্মগ্রহন করলো তার জন্য একফোঁটা দুধ বরাদ্ধ নেই অথচ তাকে হত্যা করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে লক্ষ্য কোটি ডলার পাউন্ডের অস্ত্র।

ছুটি!

ছুটি! শব্দটা শুনলেই ভেতরে কেমন একটা মুক্তি মুক্তি ভাব আসে। হোক না সেটা অল্প কিছু মুহুর্তের, অল্প কিছু দিনের। আমাদের পলায়ন প্রিয় মন কি এত কিছু ভাবে?

আমাদের সবার ক্ষেত্রেই ছুটির প্রতি কম বেশি দুর্বলতা রয়েছে।
আর ছুটির প্রতি আমাদের এই দুর্বলতার শুরু সেই ছোট্ট কাল থেকে। ছুটির প্রতি দুর্বলতা বয়সের সাথে সাথে যেটি হয় সেটি হচ্ছে অবস্থানের স্থানান্তর। আরো একটু নিরস ভাবে বললে- সেটা হচ্ছে ‘খাঁচার পরিবর্তন’।
আমার ‘প্রথম মুক্তির’ বা তীব্র ছুটির ইচ্ছার জন্ম হয়ে ছিল আরবি শিক্ষার কালে। ‘মক্তব’ শেষের ছুটি। ‘মেসাবজির’ বেত খাওয়া থেকে ছুটির পাওয়াটাই ছিল সর্বাগ্রে। কান দুটো সব সময় মেসাবজির ‘যাও, আইজ ছুটি’ শুনার প্রতিক্ষায় থাকত। আরেকটা ব্যাপার ছিল, পড়া পারা না পারার ব্যপার। যে আগে ‘সবক’ দিতে পারত তার আগে ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত আগে। আর যে পারত না তার ছুটি পাওয়া ছিল ‘সবক’ দিতে পারা সাপেক্ষ। অনেক ক্ষেত্রে কোরান শরীফ পড়ুয়ারাদের কায়দা সিফারা পড়ুয়াদের সবক নেয়ার দায়িত্ব পরত।
এর পর যে মুক্তির ইচ্ছা প্রবল ছিল ‘ক্লাস মুক্তি’। বিশেষ কোনো বিষয় বা স্যারের ক্লাস থেকে মুক্তির। এমন দিন ছিল যখন কায়মনে প্রার্থণা করতাম বিশেষ কোন ক্লাস যেন না হয়, ছুটির ঘন্টা যেন পড়ে তার আগে।  
সেইসব তো অনেক আগের কথা। আমরা অনেকেই ভুলে যাই, ভুলে গেছি সেই সব পুরনো ছোট খাট আনন্দের অনুভূতি। তাই বলে কি আমাদের ছুটির আকাঙ্ক্ষা  কমে?
বয়সের সাথে সাথে ছুটির আকাঙ্ক্ষা  যেন তীব্রতর হয়। হয়ত প্রকাশ ভিন্ন। আমাদের কারো কারো মধ্যে প্রকাশ পায় দীর্ঘশ্বাসের ভেতর দিয়ে।
জীবনের চাকা ঘুড়াতে গিয়ে যখন জীবন হাঁপিয়ে উঠে, চারপাশ থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য মন ছটফট করে।
সেই ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে ছুটির তৃঞ্চা বাড়ে বৈ কমে না।
পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশ করে আমাদের মনকে যেন ছুটির নেশায় পেয়ে বসে। সপ্তাহ শেষে নির্দিষ্ট দিনের ছুটির অপেক্ষায় মন প্রাণ গলা কাটা মুরগীর মত চটপট করে। কখনো কখনো কাজের প্রতি প্রচন্ড বিতৃষ্ণায় মন বিষিয়ে উঠে। তখন লম্বা একটা ছুটির চুরি বুকে আছড় কাটে।
আবার এমনও হয়, যে মায়া আর মহব্বত দিয়ে গড়া ঘর সংসার- কারো কারো পলাতক মন সেই ঘর সংসার থেকে ছুটি পেতে চায়। সাংসারিক চাহিদা, জীবনের চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলাতে গিয়ে অনেকেই হাপিঁয়ে উঠেন। তখন বুকের ভেতর এক স্বার্থপর ছুটির আকাঙ্ক্ষা  জন্ম নেয়।
এই ছুটির পিছনেই যেন জীবন। আর একদিন সেই জীবনের কাছ থেকেই ছুটি নিতে প্রস্তুত হতে হয়। বার্ধক্য কিংবা অসুস্থতায়, জীবনের চাকা অনেকটা যখন শীতল হয়ে আসে, মানব মন প্রস্তুত হয় চির দিনের জন্য ছুটি নিতে। কিন্তু সেই পুরাতন বাধা। ছুটি চাইলেই কি ছুটি পাওয়া যায়? কেউ কি তার নিজের ছুটি নিজে দিতে পারে? তাই অপেক্ষা…..
বয়স ভেদে ছুটির আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা কম বেশি হতে পারে কিন্তু মনের কোণে তার উপস্থিতি কেউই অস্বীকার করতে পারি না।
আমার মনে হয়, স্বপ্ন, আশা ইত্যাদিরর মত ছুটির আকাঙ্ক্ষাও মানব জীবনকে সচল রাখতে টনিক হিসেবে কাজ করে। স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদী ছুটির আকাঙ্ক্ষা জীবনভরই থেকে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সকল ছুটির আকাঙ্ক্ষা একটি ছুটিতে এসে থেমে যায়। জীবন থেকে ছুটির। কেবল অন্তিম ছুটির ঘন্টাই পারে সকল ছুটির আকাঙ্ক্ষা থেকে ছুটি দিতে……..

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব

বিশ্বাসহীন বিশ্বাসী

মাজে মাজে ভাবি, আসলেই কি কেউ ‘প্রকৃতিগতভাবে অবিশ্বাসী’ হতে পারে? আর যদি কেউ হয়েও থাকে, সেটা কিভাবে বাস্তব সম্মত? ধর্মের বর্ণিত সৃষ্টিকর্তা ধারণার সাথে নিজে কেউ ভিন্নতর মত পোষণ করতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ধারণার সাথে যে অদৃশ্য শক্তির সহাবস্থান, তা অস্বীকার করার মত জ্ঞানী বা যুক্তিবাদী কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না।
আমার প্রিয় একজন কাষ্টমার, রক এন্ড রল আইডল, টপ টু বটম। যার দাড়ি নেমে পেঠের নিম্নাংশ পর্যন্ত প্রলম্বিত। সাধারণত আমার ধারনা ছিল যারা রক এন্ড রল টাইপ, প্রচন্ড শব্দের মোটর বাইক চালায় তারা রুক্ষ হয়, ব্যবহারে হয় আগ্রেসিভ। কিন্তু এই লোকটার সাথে পরিচয় হওয়ার পর আমার সে ধারণায় চির ধরেছে। সেই যাই হোক।
লোকটির সাথে আমার প্রায়শই ধর্ম সমাজ রাজনীতি নিয়ে কথা হয়। এমনকি বর্ণবাদ নিয়েও।( বলে রাখা ভাল, লোকটির অরিজিন সাউথ আফ্রিকা, এবং শ্বেতাঙ্গ।)
এই লোকটির সাথে যুক্তি তর্কের এক পর্যায়ে আমার নিজের নতুন এক উপলব্ধি জন্ম নিল? ঐ, আসলেই কি কেউ ‘পরম অবিশ্বাসী’ হতে পারে? না পারে না। সে যতই আধুনিক ধারণার সাথে পরিচিত হোক, বিজ্ঞানের চরম অনুগত হোক না কেন, তার দৈনিক জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাটে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে।
আবার যদি বলা হয় বিশ্বাস আর আস্থা এক নয়, তবে সেটা ধরে নিয়েও কেই কি আস্থাহীন জীবন যাপন কিংবা ধারণ করতে পারে? অসম্ভব। 
এই যে রক এন্ড রোল মানুষটির কথা বলছি- সে যদিও প্রচলিত (সাধারণত খিশ্চিয়ান) ধর্মীয় স্রষ্টার ধারণার সাথে ভিন্নমত পোষন করে, কিন্তু একটি অদৃশ্য শক্তিতে সেও বিশ্বাস করে। না সেটি ‘ডেভিল ওয়ারশিপ’ নয়, প্রকৃত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সে সেই শক্তিকে বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে নারাজ যেটাকে সে কখনো বলে ‘সেন্স’ কখনওবা আখ্যায়িত করে নলেজ হিসেবে।
আমরা, আমাদের জীবনটাই সম্পুর্ণ আস্থা বা বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। চারপাশে যে দিকেই তাকাই, দেখি বিশ্বাস আর আস্থার উপস্থিতি। বিশ্বাস আর আস্থাহীন জীবন স্থবির।
হাইওয়েতে ৭০ – ৯০ মাইল গতিতে চলা হাজার হাজার মোটর বাহন চলে বিশ্বাস আর আস্থার উপর। হাজার ফুট উপর দিয়ে চলা বিমান থেকে শুরু করে সাগরে মাছ শিকারি ডিঙি নৌকার মানুষ গুলোর জীবনে দেখি সেই একই আস্থা আর বিশ্বাস। সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মানে শত ফুট উচ্চতা থেকে শুরু করে খনির নীচে কাজ করা শ্রমিকরা প্রতিটি দিন শুরু হয় বিশ্বাস দিয়ে।
আর যে জটিল মনস্থাত্ত্বিক সম্পর্কে মানব জীবন গতিময় সেটিও সম্পুর্ণ আস্থা আর বিশ্বাস নির্ভর।
তবে কি করে কেউ দাবী করতে পারে, সে অবিশ্বাসী।
জাগতিক এই বিশ্বাস আর আস্থার গোলকে বন্ধী আমি আমরা হয়ত দ্বিধাগ্রস্ত, শংসিত কিন্তু অবিশ্বাসী? না, সেটি অসম্ভব। অবাস্তব; যদি না কেউ মানসিকভাবে অসুস্থ কিংবা অস্থিরতা দ্বারা প্রভাবিত।
বিশ্বাস আর আস্থার এই সীমাকে কেউ যদি নিয়ে যায় সীমাহীনতায়, অসীম কোন শক্তিতে- অবলীলায় বলা যায়- সে বিশ্বাস আর আস্থা জাগতিক বিশ্বাস আর আস্থার চেয়ে শ্রেয়তর- কিংবা বলা যায় ‘এডভাঞ্চারাস’।

End of The World, Two significant signs Told from Prophet Muhammad,PBUH

It has been a while I’ve thought to talk about the following.

It’s about the beloved Prophet #Muhammad, Peace be upon him.
People who are doubting on his Prophecy from Almighty God, should reconsider their views if they are honest enough.
If you go through many of his words, it will astonish you. No, I’m not going to deliver some ‘Islam & science’ mumble, rather, I would like to bring some practical truth of what the final Prophet of the earth has taught us.

First of all- the numbers of Muslims! Many of us already have read reports published last week from a USA university, that claims in 70 years Muslim’s will be majority in the world by the masses. This has already been described by the Prophet in His lifetime where few thousands of His followers were around Him. Nonetheless, most of us are happy after reading the report and exclaim with joy. However, I doubted on their honesty, because Prophet’s where mentioned with the increase of quantity of Muslim in different prospects. The Hadith (His words) was about among the signs of End the world. He also mentioned there will be days coming where Muslims will suffer from non-believers, they will be attacked the same as a wolf attacks a sheep folks. His companions asked Him, will it happen because of we are less than them. He replied, no, rather you shall be more than them. I think I’ve succeeded to clear my point. Lets get ready for final days of the earth, also, have preparation for more sufferings and oppression from the non-believers. 

If you’re still happy to read that report, my prayers towards to you.

Secondly, my actual topic to writing this status.
According to our Prophet, it has been told before of signs of doom’s day. Some are major and maximum, some are minor. On the minor signs, He speaks of mentions where there will be day’s coming when ‘Women will be unclad in spite of wearing dresses.’
Whenever I’ve read these words, I just become speechless. How could have he been able to say this. Then my heart blast with reciting this ‘there is only one God and certainly Muhammad His Last Messenger’.
Now, probably I wouldn’t know what is unclad if I hadn’t seen a specific type of dress girls & women even old crone wear these days. Remember it’s not nudity, or beach suite, rather something more that have become okay in societies everyday life. If He did mean it something like that, he would implied that same kind of words. Exposing women’s body wasn’t rare in his time. Even belly dance is almost a part of Arab traditions until today. So, certainly he didn’t mean it in that way.

I think, and I’m confident, He meant those dresses now a days very popular to girls and women.  I’m neither able to describe such unsuited dresses or how does it look when they wear it. People in western society have better experience with that than my weak words. In my view “leggings” are the worst article of clothing ever designed in human history.

So, how did the Messenger know today’s unfiltered fashion?

Yes, the only answer is, He is the Messenger of God, the almighty, to whom time is not bound at all. Thanks to The Almighty to allow me to prostrate Him and follow His last Messenger.

এথিষ্ট বনাম রিলিজিয়ন এবং কিছু বাস্তবতা

CNN’র Atheist: Inside the World of Believers’ ডুকুমেন্টারী নিয়ে টুইটার ফিডে প্রখ্যাত বায়োলজিষ্ট এবং এথিষ্ট রিচার্ড ডওকিন্সের মন্তব্য পরে অবাক হলাম।
সারা বিশ্বে এথিষ্টদের অন্যতম পুরোধা এই বিখ্যাত মানুষটিও এমন একটি খোঁড়া যুক্তি কিংবা কথা বলতে পারেন ভেবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হল। শেষে ডওকিন্সের টুইটার ফিডে গিয়ে দেখি তিনিও ঐ বক্তব্যের ফ্লাশকার্ডটি রিটুইট করেছেন। তখন আর কোন সন্দেহ থাকল না, তারই বক্তব্য এটি।
তার সেই বক্তব্যটি কি ছিল?
তার কথাটি কোর্ট করে লিখছি -” The world would be a better place without religion’
কথাটি শ্রুতি মধুর। তাঁর সাথে সহমত পোষন করতাম যদি জানতে পারতাম- তিনি ‘Better Place’ বলতে কি বুজিয়েছেন? তাঁর সেই ‘Better Place’ কি ধরনের স্টান্ডার্ড রাখে। এমন না যে তিনি ধর্ম শাস্ত্রের ‘হেভেন’ থেকে তিনি বেটার প্লেইসের ধারণা পেয়েছেন।
তাহলে তাঁর এই ‘Better Place’র মাজেজা কি? এটা কি কেবল তাত্ত্বিক নাকি এর বাস্তবতা আছে? জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের চথোর্পাশ্বিক চাপে এবং কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে যদি এরকম একটা অদ্ভুত দাবী করে বসেন তাহলে বলার কিছুই থাকে না। কিন্তু তাঁর মতো ব্যক্তির এমন কাঁচা ভাবে বিভ্রান্ত হওয়া কি মানায়?
তাঁর অপর একটি কথাও কিন্তু তাঁর এই কথার সাথে খাপ খায় না। ঐ টুইট ফ্লাসেই কোর্ট করে বলছেন ‘Evidence is the only reasons to believe something’
এখন আমরা যদি তাঁর এই কথাকে সামনে রেখে পুর্বের ‘Better Place’ খুঁজতে যাই, তাহলে পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা কোন ‘Better Place’র evidence পাইনা। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আজ পর্যন্ত, আমরা জানি, কোন কালই বেটার ছিল না। এর জন্য আমি ইতিহাস তুলে আনব না, আমার এ কথার পক্ষে ডারউইনের এভিলুশনের একটি তত্ত্বই যথেষ্ট! ডারউইনের তত্ত্বে বলা হচ্ছে ‘Survival of the Fittest’. যে ওয়ার্ল্ড এ মানুষ সহ সকল প্রানীকে অস্তিত্ব রক্ষার্থে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে কি ‘Better Place’র আশা করা যায়?
সুতরাং এ সকল অবাস্তব কথায় বাহবা পেলেও ‘Better world’ তৈরিতে সামান্যতম অবদান রাখে না।
এখানে অবশ্য একটি ফাঁক থেকেই যায়। স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় এবং রিলিজিয়ন এর বিরোধিতা সমার্থক নয়। স্রষ্টায় বিশ্বাসী একজন ব্যাক্তিও রিলিজিয়নের বিরোধিতা করতে পারেন। ধর্মীয় রীতিনীতি’র প্রতি অবজ্ঞা দেখাতে পারেন।
কিন্তু ডকিন্স’দের মত বড় মাপের বিজ্ঞানী এবং থিংকার  যখন রিলিজিয়নের বিরোধিতা করে এথিষ্ট হওয়ার দাবী করেন, তখন সেটা ঠিক মেনে নেওয়া যায় না।

আবার ডকিন্স’রা ওয়ার্ল্ডকে বেটার প্লেইস হিসেবে যখন রিলিজিয়নকে দায়ী করেন বা পরষ্পরকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে চান, আসলেই কি তারা ওয়ার্ল্ডকে বেটার প্লেইস হিসেবে দেখতে চান? সন্দেহটি এ কারনেই জাগে যে, তাদের কথা যদি মেনেও নেই, রিলিজিয়ন এই পৃথিবীকে বেটার প্লেইস হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, তারপরও কথা  থেকে যায়। বর্তমান সময়ের কথাই যদি ধরি, আজকে যে এত অস্রের যোগান, অস্রের রমরমা ব্যবসা, এসব কোম্পানীগুলোর মালিক নিশ্চই ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিস নন। প্রধান প্রধান ব্যংকগুলোর মিলিয়ন পাউন্ড বেতন ও বোনাস পাওয়া কর্তাব্যক্তিরা নিশ্চয়ই চার্চের প্রিষ্ট বা ফাদার নয়। হুকার, প্রিস্টিটিউট হিসেবে প্রচন্ড টাণ্ডায় কোন নানকেও দেখি না দাঁড়িয়ে থাকতে। অথচ খবরে প্রকাশ সেই সকল সাধারণ মেয়েরাই আজকাল হুকার হিসেবে পার্ট টাইম জব বেছে নিচ্ছে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে বলে। ডকিন্সদের তো এসব নিয়ে কথা বলতে শুনি না।
ফ্যাশন বলি আর অবসেসন বলি, রিলিজিয়নের বিরোধিতার মাধ্যমে নিজেদের এথিষ্ট হিসেবে জানান দেওয়া অতি নিম্নমানের একটি প্রচেষ্টা। এতে  জ্ঞান বা প্রজ্ঞা, এমন কি বেটার Consciousness’র পরিচয় পাওয়া যায় না।
রিচার্ড ডিকিন্সদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার এই ভঙ্গুরতা দেখে সত্যি অবাক লাগে!

রেড নোজ ডে

বৃটেনে বসবারত প্রায় সবাই জানেন, রেড নোজ ডে কি। যদি জানা না থাকে তবে উইকিপিডিয়া থেকে জেনে নিতে পারেন।
সংক্ষেপে যেটা বলা যায়, সেটি হচ্ছে, জাতীয়ভাবে দান বা ডোনেশন কালেকশনের দিন।
তবে রেড নোজের বিশেষত্ব হচ্ছে এই দানের সাথে ফান থাকে বেশি। দু দিন আগে  অর্থাৎ  ১৩ই মার্চ ছিল রেড নোজ ডে, জাতীয়ভাবে এই রেড নোজ ডে পালন বেশ দেখার মত বিষয়। সেলেব্রেটি সহ জাতীয়ভাবে পরিচিত এমন কোন মুখ নেই যারা এই রেড নোজ বা কমিক রিলিফ ডে’কে সামনে নিয়ে কিছু না কিছু অবদান রাখেন না। এবারের  কমিক রিলিফ নিয়ে স্টিফেন হকিং ও ডেভিডের অংশটি বেশ ভালো লেগেছে।
তবে যে যাই করুক, রেড নোজ ডে নিয়ে বাচ্চাদের মধ্যকার নিষ্কলুষ ফান অতুলনীয়। প্রতিটি স্কুলের বাচ্চারা যেভবে রেড নোজ ডে কে  উদযাপন করে সেটি অসাধারন। কেক সেইল, ফেইস পেন্টিং সহ নিজেরা কত কিছু করে এবং আয়োজন করে মানি কালেকশনে অবদান রাখে সেটি দেখে এবং জেনে শ্রদ্ধা আসে তাদের প্রতি।
2
কিন্তু এই নিষ্পাপ শিশুদের আনন্দ দেখে মায়াও হয়। ভেবে অবাক হই, এখানকার বাচ্চাদের কিভাবে নিষ্কলুষ আনন্দ দেওয়ার নাম করে পেঠুক শ্বেত হস্তিরা কেমন  মাথা ধুলাই করে যাচ্ছে। রেড নোজ ডে’র সকল ডোনেশন ব্যায় করা হয় অনুন্নত দেশ গুলোর সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কল্যানে। গত শক্রুবার রাতে বিবিসি আয়োজন করে ছিল ঘন্টা ব্যাপী ডোনেশন কালেশনের অনুষ্টান, সেখানে বিভিন্ন সেগম্যান্টে দেখাল কমিক্স রিলিফ ডে’র অনুদান কিভাবে মানুষের সাহায্যে অবদান রাখছে। যে কারো সেই সেগমেন্ট গুলো দেখলে চোখে পানি চলে আসার কথা। আমারও এসেছিল, কিন্তু আমার কুঠিল মন প্রশ্ন করে যাচ্ছিল অন্য কিছু।
আমার মনে প্রশ্ন জাগে আসলেই কি এই সব হর্তা কর্তা মানুষ গুলো চায় আফ্রিকার মানুষদের জীবন মান পরিবর্তন হোক? যদি চায় তবে কেন হচ্ছে না আজ যুগের পর যুগ? প্রতি রেড নোজ ডে’তে যে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করা হয়, সেই অর্থ কি যথেষ্ট নয় আফ্রিকান দেশ গুলোর ভাগ্য উন্নয়নে? অথচ সত্য হচ্ছে এই কমিক ডে’তে সংগ্রহিত অর্থের একটা বিরাট অংশ ব্যায় হয়ে তামাকজাত পন্য, এলকোহল ও অস্ত্র তৈরী কোম্পানি গুলোর শেয়ারে ইনভেষ্ট করে। এখানকার শিশুরা কি সেটা জানে বা তাদের জানতে দেওয়া হয়? তারা তো শুধু জানে তারা নিজেরা যে সমস্থ অর্থ দান করছে তা ব্যয় হচ্ছে হাজার মাইল দুরের সুবিধা বঞ্চিত তাদেরই মত শিশুদের খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবায়।
জানি না এখানকার শিশুদের মনে এই প্রশ্ন জানে কিনা, আজকের আফ্রিকান দেশ গুলোর বর্তমান করুণ অবস্থা কার সৃষ্টি? ইথিওপিয়া সহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশ গুলো গৃহ যুদ্ধের কারনে যারা বিপর্যস্ত, তারা কাদের তৈরি অস্র দিয়ে যুদ্ধ করে ছিল এবং করে যাচ্ছে?  আজকের তথাকথিত সভ্য দেশ গুলো কি ইচ্ছে করলেই পারত না এই দেশ গুলোর মধ্যকার গৃহ যুদ্ধ থামাতে? পারত না অস্রের বানিজ্যকে অগ্রাধিকার না দিয়ে মানবতাকে মুল্যায়ন দিতে?
তাই আমি তাদের এই ভন্ডামীকে ভন্ডামী হিসেবেই দেখি, তাতে যতই রং মাখানো হোক না কেন। আমিও এও বিশ্বাস করি অর্থ ও অস্রে উন্নত দেশগুলো ইচ্ছে করেই আফ্রিকান দেশগুলোতে এই বিপর্যয় তৈরী করে রেখেছে তাদের নিজেদের স্বার্থে। আফ্রিকান কোন দেশ যদি নিজেদের চেষ্টায় কিছুটা উন্নতি করার ক্ষমতা অর্জনও করে তারা সেই ক্ষমতা কে চলে কৌশলে নষ্ট করে দিবে। পৃথিবীতে যদি আফ্রিকান দেশগুলো না থাকে তবে তারা তাদের এই ‘ডু সামথিং ফানি ফর মানি’র ভন্ডামি পৃথিবীর মানুষকে দেখাবে কি করে? আর তখন কি সেটা ভালো জমবে?

আমি কি উন্নত সভ্যতার একজন গর্বিত নাগরিক?

যে প্রশ্নটি ইদানিং আমার মাথায় তিড়িংবিড়িং করে লাফাচ্ছে সেই প্রশ্নটি হচ্ছে; :আমি কি সত্যিই মানব সভ্যতার শ্রেষ্ট সময়ে বাস করছি?’

আমাদের চারপাশের যা ঘটছে, আমাদের চোখের আড়ালে, দুরে, আমাদের নিত্য দিনের ব্রেকিং নিউজ পুনরায় ভাবতে বাধ্য করে- আমরা কি আসলেই সভ্যতার উৎকর্ষে উপনীত হয়েছি? 

আদিম সমাজ বলে আমাদের আজকের তথাকথিত সভ্য সমাজ নাক সিটকালেও আদিমতাই বর্তমান সমাজের আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে আছে। হয়ত মোড়াক কিছুটা জমকালো, বাহ্যিক প্রকাশ পৃথক কিন্তু মৌলিক যে বৈশিষ্ট্য, তাতে আমি সামন্যই পার্থক্য দেখতে পাই।

আদিম সমাজের মানব সভ্যতার কথা যদি বাদই দেই, এই যে আমরা কথায় কথায় মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঢেকুর তুলি, আসলে আমরা কতটা তৃপ্তি নিয়ে সেটা দেই, নাকি আমাদের বর্তমানকালীন অন্ধকার আর অসভ্যতাকে আড়াল করতে অতীতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করি?

যদি তুলনা করি, কি কি বৈশিষ্টের মানদন্ডে আমরা অপেক্ষাকৃত সভ্য , তবে বেশ খানিকট ভাবনার বিষয় আছে।

আদিম যুগের মানুষ কাঁচা মাংস খেত, উলংগ হয়ে বসবাস করত, শিক্ষাদীক্ষার নাম গন্ধও ছিলনা, রোগে শোকে ভুগে জীবন অতিবাহিত করত।

হ্যাঁ, এসব কথা যেমন সত্য, তেমনি সেই একই বৈশিষ্ট্য কি বর্তমান মানব সভ্যতায় উপস্থিত নেই? আমাদের নিজেদের কর্মকান্ড জীবনাচার আমাদের কাছে এখন শোভনীয় মনে হচ্ছে বলেই যে আমরা উত্তম এমন আত্বপ্রবঞ্চক ধারনা সত্যিই দু:খজনক।

আজকের যান্ত্রিক সভ্যতা কিংবা আরো সহজ কথায়, প্রযুক্তির যুগে আমদের কে একটি শ্রেষ্ট শ্রেষ্ট ভাব এনে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর অন্ধকার দিকটাও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।

যুদ্ধ বিগ্রহ যে কোন যুগ বা সভ্যতার অন্ধকার দিক, আজকে আমরা যুদ্ধ নয় শান্তি চাই বলে যতই চিৎকার চেচামেচি করি না কেন, এই সভ্য জগৎও কিন্তু যুদ্ধের আদিম কিংব মধ্যযুগীয় ঐতিহ্য থেকে নিজেকে আড়াল রাখতে পারছে না, যুদ্ধে কে নায়ক আর কে খল নায়ক সেটি বিবেচনায় না আনলেও শুধু এটুকু চিন্তায় আনলেই যথেষ্ট যে, এই যে কোটি কোটি টাকার অস্র নির্মান, পারমানবিক অস্রের মজুদ সেটি কি এমনি এমনিই প্রদর্শনীর জন্য? একবার কি চিন্তায় আসে না, আমার আপনার পোশাক নিত্য নতুন জিজাইনের মতই নিত্য নতুন মারনাস্ত্রের প্রটোটাইপ তৈরি হচ্ছে এবং অস্রের বাজারে দাম হাকানো হচ্ছে।

কোন ভিন দেশী শত্রুর জন্য নয়, এগুলো এই পৃথিবীর মানব মানবীর হত্যার জন্যই তৈরী করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তারপরো যদি আমরা দাবী করি আমরা সভ্যতার উৎকর্ষে, তবে উপহাস করেই বলতে হয়, গ্রো আপ ম্যান! 

মানব সভ্যতাকে যদি পৃথিবীর একটি ক্ষুদ্র অংশের চাকচিক্য দিয়ে মান নির্ণয় করা হয় তবে সেটিও হবে মুর্খতা। 

যাই হোক এসব বিষয় নিয়ে অনেক গবেষকই ভিবিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে সভ্যতার উচ্চ কিংবা নিম্ন মান নির্ধারণ করার প্রয়াস পাচ্ছেন, গবেষণাও প্রচুর হচ্ছে, এই ক্ষুদ্র লেখায় সেগুলো নিয়ে লেখাকে দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছি না।

আমি একটি ব্যাপারে বেশ সচেতন, মানব জীবনের অপ্রত্যাশিয় মৃত্যুর হার নিয়ে।
আমাদের বর্তমান চোখে যে যুগ গুলো ব্যকডেটেড, কালো, সেই সব যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে, মানব জীবনের মুল্যহীনতা বা অনর্থক অপচয়, সেটি রোগে হোক কিংবা যুদ্ধে। কিন্তু আমরা কি অস্বীকার করতে পারি আজকের এই সভ্য জগৎ এর থেকে ব্যতিক্রম নয়? খাদ্য – বস্ত্রের অভাবে মৃত্যু কি অনুপস্থিত আজকের সভ্য পৃথিবীতে? মানব জীবন আজও কি মুল্যহীন নয় বর্তমান সভ্য জগতে? 
বলা হয়ে থাকে রোগের মহামারীতে হাজার হাজার মানবের মৃত ছিল স্বাভাবিক, আজও কি সেটি সেই স্বাভাবিকতার উদাহরন নেই বর্তমান সভ্য জগতে? যে সভ্য জগতের বাসিন্দাদের অনেকেই জানে না ইবুলা কি কিংবা ইবুলা কি জিজ্ঞেস করলে বলে সেটি একটি পপ ব্যন্ড!
মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় বর্বরতায় হাজার হাজার মানবের মৃত্যুকে আজ অবিশ্বাস্য মনে হয়, কিন্ত সেদিন সেই সব মৃত্যুর জন্য প্রয়োজন ছিল যুদ্ধের, একটি প্রয়োজন সাপেক্ষ সময় সম্মুখ যুদ্ধ শেষে বিজয়ীরা হত্যা করত বিজিতদের, আজকের  সভ্যতায় শত শত মৃত্যুর জন্য সম্মুখ যুদ্ধের প্রয়োজনও পড়ে না, অপেক্ষাকৃত অনেক কম সময়ে হাজার হাজার – শত শত মানব মৃত্যু সম্ভব এবং সেটির প্রমান আমরা পেয়েছি জাপানের হির‍্যোসিমা আর নাগাসাকিতে এবং সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে যে কোন সময়। একদিকে মানবতা মানবতা বলে কিছু খেকশেঁয়াল হুক্কা হূয়া দিয়েই যাচ্ছে অন্যদিকে তারই জ্ঞাতি ভাই নির্মাণ আর আবিষ্কার করে যাচ্চে নিত্য নতুন ধ্বংসাত্মক অস্র? আমি কি বিশ্বাস করব এসব অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ভিন গ্রহের কারো সাথে বা এগুলো ব্যবহার করা হবে এলিয়েনদের সাথে যুদ্ধ করতে?
ভাবতে অবাক লাগে, নিজেদের চারপাশে পারমানবিক বোমার মজুদ রেখে আমরা পৃথিবী ও এর মধ্যে বসবাসকারী প্রানীদের জীবন বিপন্ন বলে বলে আক্ষেপ করি। বর্তমানে ভিবিন্ন দেশে যত সংখ্যক এই পারমানবিক বোম আছে এর সিকি ভাগও যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে পৃথিবীতে মানুষ কেন কোন প্রানীরই অস্তিত্ব থাকবে না, আর সেই আমরাই, উন্নত মানব সভ্যাতার অধিকারী যারা কিনা মানুষের বসবাস উপযোগী পৃথিবী নিশ্চিত করতে পুর্বের যে কোন সভ্যতার মানুষের চেয়ে বেশি অগ্রগামী, কি হাস্যকর! রোগ শোকে মানুষের মৃত্যু আজ যতটানা প্রাকৃতিক, তার চেয়ে বেশি মানবীয়, বেঁচে থাকা কিংবা না থাকাটা নির্ধারন করছে অল্প কিছু এলিট, তাদের ল্যবরটরিতে নির্ভর করছে পৃথিবীতে কারা বেঁচে থাকবে আর কারা থাকবে না, এটিই বাস্তব সত্য, এটিই সভ্য জগতের আসল পরিচয়।
আজকের সভ্য জগতে শত শত মৃত্যুর আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে বিমান দুর্ঘটনা, এটি আরো ভয়াবহ। পলকেই কিংবা মিনেটের ব্যবধানে শত শত মানব জীবন ইতি টানে আমরা এই 2014 সালেই এর প্রমান পেয়েছি, ইউক্রেনের উপর দিয়ে যাওয়া MH370 এর বিমান যাত্রীদের মৃত্যু, মালেশিয়ান এয়াল্লাইসেন্সের MH17, 242 জন যাত্রীর নিখোঁজ, এবং এই কিছুদিন আগে এয়ার এশিয়ার 139 জন যাত্রীর মৃত্যু।
মৃত্যু তো মৃত্যুই, সে যুদ্ধেই হোক আর বিমান দুর্ঘটনাজনিতই হোক, মাধ্যম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু ফলাফল তো সে একই, নিরপরাধ মানব জীবনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু।
আদিমযুগ কিংবা মধ্যযুগ, মানব জীবনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যর মাধ্যম ছিল সীমাবদ্ধ, কিন্তু আজকের সভ্য জগতে অপ্রতাশিত মৃত্যুর মাধ্যম অনেক অনেক বেশি, সুতরাং আমাকে যদি বিশ্বাস করতে বলা হয়, আমি মানব সভ্যতার সবচেয়ে উন্নত যুগে বাস করছি, তবে আমাকে সেটি মেনে নিতে হবে যে, আজকের সভ্য জগত বৈচিত্র্য আর চাকচিক্যে হয়ত পুর্ববর্তী যুগের তুলনায় অনেক আপডেটেড কিন্ত মৌলিকতায় সমান, বরং বলা যায় অনেক নিম্নে।

তাই, আমি নিজেকে মানব ইতিহাসের সর্বোচ্চ সভ্য জগতের নাগরিক হিসেবে মানতে রাজি নই, নিজের যেটুকু পরিশীলিত জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি এখনো ধারণ করি, সেই বোধ থেকেই বলতে পারি, আমি এই তথাকথিত সভ্য জগতের বাসিন্দা হিসেবে গর্ববোধ করি না।

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব

হিন্দি ছবি PK এবং সৃষ্টিকর্তার একত্ববাদ

বেশ কিছুদিন আগে দেখা হয়েছিল হিন্দি ফিল্ম PK. ছবিটা যতটা না বিনোদনধর্মী তার চেয়ে বেশি তাত্ত্বিক। ধর্মীয় আচার, মন্দির আর পুরোহিত দ্ধারা সাধারনের ধর্মীয় বিশ্বাসের সুবিধাভোগীদের গালে বেশ বড় সর একটা চপেটাঘাত। আমার অনেকটাই বিশ্বাসের বাহিরে ছিল ভারতের মত ধর্মীয় আচার সর্বস্ব দেশে এরকম একটি ফিল্ম পর্দায় দেখানো হয়েছে। তার উপর প্রধান চরিত্র PK হিসেব যিনি অভিনয় করেছেন তিনি একজন মুসলমান। ধর্মীয় পুরোহিতরা ফিল্মটিকে হজম করতে দেখে বেশ অবাক লেগেছে। কোটি কোটি রুপি’র ব্যবসা যে মন্দির কে ঘিরে, সেই মন্দির ভক্তরা তুলনামূলক ভাবে কম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেটা নির্ধিদায় বলা যায়। এটা অবশ্য ভাল লক্ষণ।
PK ফিল্মে যেটি মুখ্য হয়ে প্রদর্শিত হয়েছে সেটি হচ্ছে স্রষ্টার একত্ববাদ, যেটি ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। ইসলামের এই একত্ববাদের কথাই আসলে এসেছে ফিল্মটিতে। যার কারনে ছবির ভিলেন ধর্মীয় গুরু PK’কে মুসলিম হিসবে ট্যাগ দিয়েছেন।
কিন্তু আমার কাছে যেটি দৃষ্টি কটু লেগেছে সেটি হচ্ছে হিন্দু খ্রীশ্চিয়ান ধর্মীয় অপ প্রথাকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, মুসলিম সমাজের মধ্যেকার অনেক অপপ্রথা বা অধর্মীয় অনাচারকে সেরকম ভাবে তুলে ধরা হয় নি। এটা কেন করা হয় নি, সেটি আমার বোধগম্য নয়। উত্তর হয়ত এমন হতে পারে যে, মুসলিম সমাজে অনেক অপ প্রথা থাকলেও সৃষ্টিকর্তার একত্ববাদের প্রতি কোন মুসলিমই অংশীদারিকে স্বীকার করে না, যদিও তারা ধর্মের নামে অনেক অপপ্রথা পালন করে।
কিন্তু এটি স্বীকার করে নিলেও পুরো ফিল্মে যে সকল বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, সে একই অপপ্রথা কিন্তু মুসলিমদের মধ্যে উপস্থিত। এখনো মুসলিম সমাজে মাজারকে ঘিরে যে সকল অপপ্রথা চালু আছে সেগুলো হিন্দু মন্দির বা দেবতা পুজার চেয়ে কম ঘৃণ্য নয়। লাল সালু ঠাংগিয়ে ব্যবসা তো মুসলিম সমাজের এক খুবই পরিচিত দৃশ্য। ভন্ড পীরদের দৌরাত্ম্য হিন্দু শ্রী গুরুদের চেয়েও অনেক নিম্নে। অথচ আমরা PK ফিল্মে সেই সকল দৃশ্যের দৃশ্যায়ন কম দেখি। আমার মনে হয় এখানে চাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
আশা করি আগামীতে ‘PK-2’ তে (যদি নির্মান করা হয়) মুসলিম সমাজের মধ্যে প্রচলিত ভিবিন্ন অপপ্রথা গুলো আরো বেশি তুলে ধরে ধর্মীয় তাত্ত্বিকতার সামঞ্জস্য আনা হবে।

BLACK FRIDAY, Black Day for Britain Indeed

We saw the Black Friday craziness , i think the whole world also watched it. This is the first time uk goes under such USA type Manic. 
But it doesn’t make me feel better rather thinking where this country and its society going. Todays absolute madness shocked, i think most of the decent people in uk. Is this the Britain? Blind run like rat race, pushing, swearing and some case’s physical abusing. Is it Normal to go with Britain?  Doesn’t give this at least some eyesore? 
I used to see big crowd outside the high street shops early in the Boxing day, but never seen such madness. Recently we have come in tuch some such scenario on Apple New Hand set sell but still not like todays.
So, what a message we got through black Friday in uk!
No doubt,  its a big message,  Uk’s high profile think tanks must work out this message  otherwise its ruined Proberbly not the country itself but the society its belongs to and proud of.
In my personal thought,  i worked out one thing.
Since when Britain goes with America, they starting drowning.  They pull Britain to Iraq invasion, they follow the foot step of America in Afgan.  And its change total Britain into a off beat society.
Now, there is another message i worked out today about Britain society. And its also express the deep dark side of British moderate society.
people of Britain no more tolerable and calmly. In normal cases they dont show extreme behaviour on day basis work. But they may do and express theirs extreme behaviour in right time with right places. In this term there are no differences a person behaviour while he is in starving condition in Africa or a moderate citizen behaviour in Britain when they are hungry for their desire item on massive discount sale. They show similar attitude. So, practically we can’t say we r in better society and civilized people. I think when someone claims such thing should think twice.
We have to accept the Britain society has changed and more likely their is nothing specialty left so someone can claim they are living in better world.
Today, black Friday also a black day of great Britain indeed, and they whole world watched how the the great wall of a great society has fallen with craziness,madness and some unexpected way…….
See some clips on the dat below :

image

image

image

image

http://www.telegraph.co.uk/finance/businessclub/business-club-video/consumer-and-retail-sector-vide/11259894/Asda-Black-Friday-madness-as-frantic-shoppers-fight-over-TVs.html

মালালা’র গলায় নোবেল মালা, শোভনীয় কতটা?

অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশে শিক্ষার অধিকারের দাবী নতুন কিছু নয়। মালালা’র দাবীটাও ছিল স্বাভাবিক,  অন্য আর পাঁচ দশজন সচেতন নাগরিকের মতই। তবে মালালা’র দাবী লাইমলাইটে আসে তালেবানদের কল্যানে। তালেবান বন্ধুকধারীদের দ্ধারা মালালা’র মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুর্ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে সারা পৃথিবীতে হইচই ফেলে দেয়। কালবিলম্ব না করে পশ্চিমা গনমাধ্যম গুলোও এই ইস্যু লুফে নেয়। পশ্চিমা নেতাদের হায় হায় ঝড়ে মালালা নিজেকে আবিষ্কার করে স্বপ্নের দেশ (!) বিলাতে। একই সাথে পশ্চিমারা যেভাবে মালালা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে এবং করে যাচ্ছে তাতে অনেক প্রশ্নে ইতিমধ্যে জন্মেছে এবং এর পেছনের যে সুদুরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা কাজ করেছে, সেটি ধীরে ধীরে অনেকটাই আজ পরিষ্কার। কেননা পশ্চিমারা অন্যান্যদের ক্ষেত্রে কিন্ত্য সমান প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
বলে রাখা ভাল, এই লেখা দ্বারা যদি কেউ মনে করেন তালেবানদের অপকর্মের স্বীকৃতি বা মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব অস্বীকার করা, তাহলে সেটি আমার প্রতি অবিচার করা হবে। বরং এখানে এর চেয়ে আরো গভীর কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে।
ধরে নিতে পারেন এটি একটি গল্প। এক স্বদেশী মেয়ের গল্প যে একজন শ্বেতাঙ্গ নায়ক দ্ধারা তালেবান রূপি ভিলেনের হাত থেকে উদ্ধার পেয়েছে। পারি জমিয়েছে সুদূর বিলাতে! এবং সারা শ্বেতাঙ্গ বিশ্ব আত্বসূখ লাভ করছে যে তারা একটি অবলা বিনদেশী নারীকে উদ্ধার করেছে তারই দেশের দস্যুদের হাত থেকে।
গল্পটা এতই চিত্তাকর্ষক যে এটি বর্নবাদী বিশ্বে  এখন প্রায় প্রাতিষ্টানিকভাবে সত্য। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ খাবি খাচ্ছেন এই গল্পের উপর সংবাদ করতে আর সরস মন্তব্য করতে।  যে গল্পে ইংরেজ নাইট’রা তাদের চকচকে বর্ম নিয়ে এগিয়ে গেছেন একটি বাদামী বর্নের মেয়েকে স্বদেশী দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করতে।
এই গল্পের ফলাফলে প্রাশ্চাত্যের সকল অপকর্ম আজ সমর্থিত। বমিং, যুদ্ধ, অন্যদেশ আক্রমণ করে দখল- সব আজ যুক্তিসংগত। যেন, তারা উপহাস করে বলছে- ‘দেখেছ, বলেছিলাম না, এই জন্যই আমরা অন্য দেশে আক্রমণ করি সেখানকার ‘ব্লাডি নেটিভ’দের রক্ষা করার জন্য।
কিন্তু আসলেই কি তাই?  বরং সত্য হচ্ছে, এরকম শত শত, হাজার হাজার মালালা রয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক প্যালেস্টাইনসহ পৃথিবীর আনাচে কানাচে । যাদের অধিকাংশই পশ্চিমাদের রাষ্ট্রীয় সন্তাসের শিকার। কিন্তু পশ্চিমা সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা এই বিষয়ে নিরব, কারন তাদের ‘মধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ অপরাধবোধ’ থেকে নিজেদেরকে  আড়াল করতে ব্যস্থ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী যে গর্ডন ব্রাউন জাতিসংঘে দাড়িয়ে মালালা’র পক্ষে বক্তৃতা দিয়েছিলেন সেই একই গর্ডন ব্রাউন ইরাকে অবৈধ আক্রমনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন যার ফলে সেখানকার শিশুদের শুধু শিক্ষার সুযোগই হারায় নি, তারা হারিয়েছে তাদের নিজেদের জীবন এবং সেই সংখ্যা কেবলই বাড়ছে।
যে সাংবাদিকরা ইরাক যুদ্ধের বোধগম্য কারন সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে ব্যার্থ হয়েছে আজ আবার তারাই প্রাশ্চাত্যের গুন গাচ্ছে মালালাকে ও তার প্রচারাভিযান সমর্থন করার জন্য এবং একই সাথে সেটি ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপট উপেক্ষা সম্পুর্ন  উপেক্ষা করে। সুতরাংচিত্রটা এমন দাড়াল যে, প্রাশ্চাত্যের দখলদারিত্ব সত্যিই প্রশংসাযোগ্য!!
মালাল যা বলতে চাচ্ছে, অবশ্যই সেটি গুরুত্ববহ। যে ম্যাসেজ পৃথিবীর জন্য আবশ্যিক সেটি হচ্ছে- প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার অধিকার।  কিন্তু মালালা নিজে ব্যবহিত হচ্ছে প্রাশ্চাত্যের হাতের পুতুল হিসেবে।
যার ফলে ভিবিন্ন দেশ যেমন ব্রিটেন তাদের পাপ ও অপকর্ম আড়াল করার প্রয়াস পাচ্ছে।
সাংবাদিকদেরকে এমন কিছু প্রতিবেদন তৈরী করতে সহায়তা করছে যা উৎসাহব্যঞ্জক অথচ তারাই আবার অবজ্ঞায় এড়িয়ে যাচ্ছে অনেক ঘটনা, যেমন এড়িয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সীমান্তে আমেরিকা ড্রোন হামলায় পুরুষ নারী শিশু সমহারে হত্যাকান্ড।
পশ্চিমা গনমাধ্যম গুলো দিনের পর দিন উদ্দেশ্যমুলকভাবে এমন সব প্রতিবেদন তৈরী করেছে যেখানে, অশ্বেতাঙ্গ মুসলিমদের প্রতি অবজ্ঞা সহ তাদেরকে অসভ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের সাথে আলাপ বা সমযোতা করা অসম্ভব এবং এইসব অসভ্যদের সাথে উত্তম ব্যবহার হচ্ছে যুদ্ধ। ড্রোন হামলা, বোমা নিক্ষেপ এবং দখলদারিত্বই হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম। ন্যাটো যে বোমা হামলা করছে সেটি করছে মালালা’র মতো মেয়েদের বাঁচানোর জন্য, এটাই তাদের বার্তা।

ঐতিহাসিকভাবেই প্রাশ্চাত্য নারীদের ব্যবহার করে আসছে তাদের যুদ্ধবাজ পুরুষদের অপকর্ম ঢাকতে। এর প্রয়োগ তারা করছে চিত্রকলা, শিল্পকলায়, শিক্ষাব্যবস্থায়। এমনকি প্রাশ্চাত্য মানবাধিকার সংস্থার উপরও এর প্রভাব দেখা যায়। যেমন আমরা দেখি এমেনেষ্টি ইন্টারনেশনালের প্রচার পোষ্টারের সাথে নিউইয়র্ক ন্যাটো সামিটের পোষ্টারের সাথে মিল। এ যেন অনেকটাই ন্যাটোকে আফগানিস্তানে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেওয়া।
মজার কথা হচ্ছে – মালালা’র সাথে সাজিয়া রামজান এবং কাইনাত রিয়াজও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।   পশ্চিমা গনমাধ্যম এবং চতুর রাজনীতিবিদরা তাদের কথা ভুলে গেছে।
আবির কাসিম হামজা আল জানাবি; পশ্চিমা কয়জন সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ এই নামের মেয়েটিকে জানে? মাত্র ১৪ বছরের কিশোরী,  যে গনধর্ষণের শিকার হয়েছিল পাঁচটি বর্বর আমেরিকান সৈন্য দ্ধারা।  তারা তাকে শুধু ধর্ষণ করে থেমে থাকেনি, তার ছয় বছর বয়সের বোন সহ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করেছিল। তার নামে কোন দিন উদযাপিত হয় না, জাতিসংঘে তার নাম উচ্চারিত হয় না। এবং গর্ডন ব্রাউনকে তার নাম নিয়ে কোন অংগীকার করতেও শুনিনা।
মালালা’কে সমর্থন না করার কোন কারণ নেই। সবার শিক্ষার অধিকার অবশ্যই সমর্থন করি। কিন্তু প্রাশ্চাত্য গনমাধ্যম ও রাজনীতিবিদের ভন্দামীকে আশ্রয় দেওয়া যায় না। তারা তাদের মত করে এমন কাউকে তুলে আনে যারা তাদের  কর্মকে অভিবাদন জানাবে।
মালালা’ও একজন খুব প্রভু ভক্ত স্বদেশী!  সে প্রাশ্চাত্যের কোন সমালোচনা করে না, ড্রোন হামলা নিয়ে কথা বলে না। শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের মন থেকে পাপের বোঝা কমিয়ে আনতে মালাল তাই একজন যৌগ্য প্রার্থী। এবং সেটিই প্রমাণ হয়েছে তার নোবেল পুরস্কারের মধ্য দিয়ে।

পশ্চিমা ত্রানকর্তাদের জটিল কূটকৌশলের আবর্তে মালালা’র বার্তা হাড়িয়ে গেছে। তালেবানরা যত মেয়েকে হত্যা করেছে তার চেয়ে বেশি হত্যা করেছে পশ্চিমারা। তালেবানরা তাদের বুলেটের মাধ্যমে যতসংখক মেয়েকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তার চেয়ে অনেকগুন বেশি করেছে প্রাশ্চাত্য তাদের মিসাইল নিক্ষেপ করে।
সারা পৃথিবীতে শিক্ষার অধিকার চিনিয়ে নিতে প্রাশ্চাত্য যে সকল অপরাধ করেছে চরম্পন্থিরা  হয়ত সেগুলো কল্পনাও করতে পারবে না।
প্রাশ্চাত্যের আত্বসূখ ও আত্বপ্রশংসা সম্বলিত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’র অত্যাচারে অতীষ্ট আমরা। তাদের মিথ্যাচার এমনি নিকৃষ্ট পর্যায়ের যে, তারা আমাদের এ কথাটি বিশ্বাস করতে বলে- প্রাশ্চাত্য বোমা নিক্ষেপ করছে মালালা’র মত মেয়েদের রক্ষা করতে। আর মালালা’র এইসব মিথ্যাচারের ব্রান্ড মডেল হয়ে নিজেকে আজ বিশ্ব স্বীকৃতি পাইয়েছে, গলায় পড়েছে নোবেল মালা। মালালা কি কখন উপলব্ধি করবে, এইসব নোংরা বাহবা আর পুরুষ্কারের মালায় তাকে কথটা কুৎসিত লাগে??