ক্ষুদ্রের অসীমতা…..

জীবন কখনো ব্যর্থ হয়না, বরং আমাদের ইচ্ছা, আখাংকা, ব্যর্থ হয়। জীবনের সারিবদ্ধ সোপান ক্রমিকমান অনুযায়ী মাড়ানো হয়নি বলে যে জীবন ব্যার্থ, এই ধারনা আরোপিত, স্বতঃসিদ্ধ নয়।জীবনের রেডিমেড পোষাকে নিজেকে দেখতে আমাদের দুর্বলতা, নমনীয়তা আমাদের ‘সাধারন’ হয়ার প্রবনতা এনে দেয়। ‘আমি অতি সাধারন’ বোধের আত্বপ্রবঞ্চনা আমাদের কাছে মানবীয় উচ্চতার মান নিয়ন্ত্রক। 

জীবনের ‘স্টেজ’ গুলো কৃত্রিম, এখানে সংযোজন, বিয়োজন প্রতিনিয়ত আবর্তিত হয় সময়ের চক্রিক সিড়ি বেয়ে। হতে পারে দ্বিমাত্রিক-ত্রিমাত্রিক। কিন্তু ছোখ আটকে যাওয়া কিংবা আপাত অপেক্ষাকৃত বেশি সুবিধাজনক মনে হওয়া সিড়িতেই আমাদের জীবনের লক্ষ্য নিক্ষিপ্ত হওয়ায় সেই সিড়ি টপকানোর মধ্যেই জীবনে কিছু হওয়া বা না হওয়া নির্ধারন করা হয়।

আমরা সবাই জীবন কে ২+২ = ৪ করে হিসাব করে অভ্যস্থ। কিন্তু জীবনের এই হিসেব ১+১+১+১ বা ১+৩ কিংবা ৩+১ সমান চার হতে পারে, সে হিসেবে আমরা অনভ্যস্ত। আমরা অস্বস্তি বোধ করি। 

জীবন কখনো কাউকে প্রতারিত করে না, বরং ব্যক্তির কাছেই জীবনই পরাজিত হয়।  

জীবন কোন সুনির্দিষ্ট পথে হাটার কথা নয়, যদিও আমরা টেনে হেছড়ে নেই। জীবনের ক্ষরন হয়, এক সময় সেই পথে হাটার, দৌড়ানোর সক্ষমতা আসলেও সেটা হয় কেবল বাধিত হওয়ার সূখ, জীবন নিজে আনন্দিত হয় না।

জীবনের জঠিলতার কারনে কাংখিত পথে হাটা সম্ভব হয় না, কিন্তু তার মানে এই না যে নিজের স্বকীয়তা বিলুপ্ত করে দিতে হবে, আটপৌড় হয়ে যেতে হবে। জীবন মানে অনির্দিষ্টতা, নির্দিষ্ট খাপে বাক্সে ভরে তাকে বয়ে নিতে হবে তার কোন মানে হয় না, আর যদি হয়ও, খাপ বা বাক্সের ভিতরের অস্তিত্যটা যেন নিজেই খাপ খাওয়াতে গিয়ে খাপের সাথে, বাক্সের মধ্যে একাকার হয়ে না যায়। বাক্সের মধ্যে জীবন আর বাক্সবন্ধি হওয়া এক কথা নয় 

জীবনের আনন্দ, সূখ, লোভ, পুন্য, দু;:খ, কষ্ট, সৌন্দর্যরূপ, কদর্যতা, নীচতা, হীনতা- সবই আপেক্ষিক।

আপেক্ষিকতা কে বড় করে দেখে তাকে জীবনের ‘স্টান্ডার্ড’ হিসেবে মেনে নেওয়ার কোনই যুক্তি নেই।

সুতরাং- 

Have the Most of it, Just be Honest with yourself.